আজ || বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  ধানদিয়ায় কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       খেশরায় কাপ পিরিচে ভোট চেয়ে ঘোষ সনৎ কুমারের গণসংযোগ       খলিলনগরে কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালার খলিষখালীতে কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ভিত্তিক অবহিতকরণ সভা       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোডাউন       অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       তালায় বন্ধ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম ॥  সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা         তালায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ       বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন    
 


করোনায় ভারতে একদিনে ৫০ চিকিৎসকের মৃত্যু

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে বেসামাল ভারত। দৈনিক সংক্রমণের হার হোক কিংবা মৃত্যুর হিসেব, বেড়েই চলেছে আতঙ্ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে ২৪৪ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন দেশে। প্রসঙ্গত, এর মধ্যে বিহারে মারা গিয়েছেন ৬৯ জন। এরপরেই উত্তরপ্রদেশ (৩৪) ও দিল্লি (২৭)।

আইএমএ-র সাধারণ সচিব জয়েশ লেলে জানিয়েছেন, ‘‘এইভাবে একদিনে ৫০ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে ২৪৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ শতাংশ চিকিৎসকের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছিল।’’

ভারতের মাত্র ৬৬ শতাংশ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরই সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। তাই চেষ্টা চলছে যত দ্রুত করোনার সমস্ত ‘ফ্রন্টলাইন’ যোদ্ধাদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার।

যে ২৪৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে, তাঁদের মধ্যে সবথেকে কমবয়সি চিকিৎসক আনাস মুজাহিদ। মাত্র ২৬ বছরের আনাস দিল্লির এক কোভিড হাসপাতালের জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। জানা গিয়েছে, তাঁর হাতে কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গিয়েছেন ওই তরুণ চিকিৎসক। মৃত্যুর পরে প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁর পরিবার ও সহকর্মীরা ধাক্কার অভিঘাত এতটুকু সামলে উঠতে পারেননি। এক সহকর্মী ডা. আমির সোহেলের কথায়, ‘‘ওর কোনও কোমর্বিডিটি ছিল না। ওর অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কোনও দিন কোনও বড় ধরনের অসুখে ঘোবেনি আনাস। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না কী করে এসব হয়ে গেল!’’

আইএমএ জানাচ্ছে, গত বছর করোনার প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের ৭৩৬ জন চিকিৎসক। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার প্রায় ১০০০ জন চিকিৎসক। যদিও আসল সংখ্যাটা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা আইএমএ-র পরিসংখ্যানে কেবল সাড়ে তিন লক্ষ চিকিৎসকের হিসেব রয়েছে। সেখানে গোটা দেশে চিকিৎসকদের সংখ্যাটা ১২ লক্ষেরও বেশি।


Top